আমাদের সোনালী অতিত! ১৯৯৬ - ২০০৪ - অতীত নিয়ে লেখা গল্প
কেউ সোফায়, টুলে বা পিরায়, কেউ চেয়ারে, কেউ ফ্লোরে সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে বেস সিনেমা দেখতাম। এলাকায় যাদের বাসায় টিভি থাকতো তাদের বাসায় সবার আড্ডা চলতো। প্রতিবেশীরা সবাই আসবে, একসাথে টিভি দেখা হবে। কতোই না মজা! আবার শুক্রবার রাত ৮:৩০ বেজে উঠার আগেই পুরো গ্রামের সবার খাওয়া শেষ করতো। উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে আলিফ লায়লার অপেক্ষা। বিজ্ঞাপন হচ্ছে কেয়া কসমেটিক, তিব্বত স্নো, নারিকেল তেল ও বিভিন্ন বিস্কিটের। আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় মিউজিক। এরপর শুরু হয় সবার প্রিয় অনুষ্ঠান "আলিফ লায়লা"। কাহিনীতে মনযোগ দিতে দিতেই আগামী পর্বে দেখবেন। এত অল্প সময় দেখায়, তবু আনন্দের শেষ থাকেনা।
এখনও সব আছে, আগের থেকে ভালো টিভি, ডিস নেটওয়ার্ক, কিন্তু আগের মতো আর আকর্ষণ নেই। সেই উপস্থাপিকা ও আছেন, তিনি এখনও আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে আগের মতো মনযোগী করে না। ছবি দেখার জন্য এখন কেউ শুক্রবারের অপেক্ষা করে না। এখনকার ছোটরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। সবাই মোবাইল, ডিজিটাল কার্টুন, গেম নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমানে একসাথে ৩০/৪০ জন মিলে টিভি দেখার কল্পনাও করা যায় না।
শুক্রবার আসে, শুক্রবার চলে যায়, সপ্তাহ ঘুরে আবার শুক্রবার আসে, কিন্তু শৈশব আমাদের হারিয়ে গেছে সব বদলে গেছে!
১৯৯৫-২০২৪